শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি: বোরহানউদ্দিন থানার, কাচিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড এর আব্দুল বারেক হাওলাদারের ছেলে(৬২) মোহাম্মদ গাফফার হাওলাদার (২৮) ভয়াবহ লুকানো এক ভয়ঙ্কর নাম। যিনি ধর্মীয় লেবাসের আড়ালে করে যাচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের ভয়ংকর অপকর্ম। আব্দুল গাফফার মাদ্রাসার একজন ছাত্র ছিলেন।
সেই জীবন থেকে তিনি শিবিরের একজন সক্রীয় কর্মী থেকে নানা ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলেন। মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করে জ্বীন নামক এক প্রতারণার ব্যবসা ও মাদকের সম্রাট হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে অখ্যায়িত রয়েছেন এলাকার জনগণের কাছে। শুধু তাই নয় ভোলা জেলার বড় বড় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সাথে তার নামও জড়িয়ে রয়েছে বলেও জানা যায়। তিনি টুপি ও পাঞ্জাবি ছদ্মবেশ হিসেবে ব্যবহার করে নানা অপকর্মের করে যাচ্ছেন বলেও জানায় স্থানীয় জনগন।
যাহাতে তাহাকে কেউ কোনরুপ সন্দেহ না করতে পারে। উনার বাবা একজন কুঞ্জের হাট বাজারের ছোটখাটো পান দোকানদার,সারাজীবন রিকশা চালিয়ে জীবনযাপন করেছেন বলেও জানায় স্থানীয়রা। কিন্তু হঠাৎ ওনার ছেলে মোহাম্মদ গাফফার অবৈধ টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছেন!এখন এলাকায় আজ্ঞুল ফুলে কলাগাছ।
তিনি সব সময় মোটরসাইকেল নিয়ে চলাফেরা করেন, এমনকি উনার বাসায় বিলাসবহুল এবং সিসি ক্যামেরা দারা নিয়ন্ত্রিত।স্থানীয়রা প্রশ্ন রাখেন যে উনি আসলে কি এমন কাজ করেন যে ওনার বাসায় সিসি ক্যামেরা পর্যন্ত লাগানোর প্রয়োজন হয়। সাধারণ মানুষ যখন তার সাথে এই ব্যাপারে কথা বলে তখন তিনি বলেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাহার বাসায় রাত্রিযাপন করেন। আমার বোনের বাসায় ঘুমায়।কখনো কখনো ক্ষমতার দাপটে বলে বেড়ান তাদেরকে কেউ কিছু করার ক্ষমতা কারো নাই,কার কত টাকা হয়েছে তিনি সেটাও দেখবেন বলেও হুংকার।
এদিকে এবিষয়ে তাহার মুঠোফোনে জানতে চাইলে বা যোগাযোগ করা হলে তাহাকে পাওয়া যায়নি।তবে স্থানীয় জনতার দাবি যদি প্রশাসন সঠিকভাবে তদন্ত করেন তাহলে এই পরিবারের সকল অপকর্মের রহস্য উন্মোচিত হবে বলে দাবি তাদের।একজন দিনমজুর থেকে আজ লাখপতি আয়ের উৎস বা অবৈধ সকল কিছু কোথায় থেকে আসছে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তা ক্ষতিয়ে দেখার অনুরোধ ও দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। জনগণের স্বার্থে ও স্থানীয় যুবসমাজকে মাধকের ভয়াল গ্রাস থেকে বাচাতে মোহাম্মদ গাফফার নামক জ্বীন ও মাদকসম্রাট এই লেবাসধারী লোকের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে অপকর্ম থেকে স্থানীয় জনতাকে বাচানো অনুরোধ জানিয়েছেন কাচিয়া ইউনিয়নের সাধারণ জনগন।